এবার আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করবে : নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী লেভিট
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৩৩:২৪,অপরাহ্ন ২৭ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ১৩৭৩ বার পঠিত
তৃতীয় বাঙলা ডেস্কঃ
করোনা আতঙ্কের মধ্যেই এবার মিলল সুখবর খবর। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব পদার্থবিদ ও নোবেলজয়ী মাইকেল লেভিটের দাবি, করোনার দাপট খুব শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসতে চলেছে। করোনার সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ফলে এবার ধীরে ধীরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করবে।
২০১৩ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পাওয়া লেভিট করোনা আক্রান্ত ৭৮টি দেশের দৈনন্দিন রিপোর্ট দেখে এই মত প্রকাশ করেছেন। নিজের যুক্তির স্বপক্ষে মাইকেল লেভিট বলেছেন, করোনার সংক্রমণ রুখতে লকডাউন-এর পদক্ষেপ গোটা বিশ্বেই বুস্টার শট- এর মতো কাজ করেছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন রোগের সম্পর্কে নতুন নতুন খবর শুনে মানুষ ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তথ্য বলছে, সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। যার অর্থ, করোনা মহামারি প্রায় অন্তিম স্তরে পৌঁছেছে।
লেভিটের দাবিকে এই জন্যই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না কারণ বিশ্বের অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের অনেক আগে চীনে করোনার দাপট কমার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই চীনে নিজের বন্ধুদের চিঠি লিখে তিনি দাবি করেছিলেন, করোনা বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসবে চীন। তার বার্তা গোটা চীনেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেই পূর্বাভাস সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছিল। বর্তমানে চীনে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এবার গোটা বিশ্বের জন্যই সেই একই দাবি করেছেন লেভিট।
লেভিট জানিয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি করোনা আক্রান্তের সংখ্যার ওপর নজর রাখছিলেন। চীনে প্রতিদিন মৃতের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে এবং হিসেব করে শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তে উপনীত হন। পর্যবেক্ষণের শুরুতে লেভিট লক্ষ্য করেন, চীনের হুবেই প্রদেশে প্রতিদিন ১৮০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংক্রমণের হার এমনই ছিল। কিন্তু তার পরের দিন থেকেই সংক্রমণের হার কমতে শুরু করে। এক সপ্তাহ পরে মৃত্যুর হারেও একই ধরনের কমতি নজরে আসে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে তিনি দাবি করেছিলেন, দু’ সপ্তাহের মধ্যে চীনে করোনার দাপট কমবে। এখন তার দাবি, মার্চ মাসের শেষ দিকেই করোনা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাবে চীন। একই সঙ্গে তার দাবি, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোও যদি মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারে এবং মানুষের গতিবিধির যথাসম্ভব কমিয়ে রাখতে পারে, সেক্ষেত্রে অধিকাংশ দেশই খুব শিগগিরই করোনার গ্রাস থেকে মুক্তি পাবে। করোনা আতঙ্কে পরিস্থিতি যতোটা খারাপ মনে হচ্ছে, বাস্তবে তা ততোটা নয় বলেই দাবি করেছেন লেভিট।