যে কারণে ২০ লাখ বিড়াল হত্যা করবে অস্ট্রেলিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪৩:০৯,অপরাহ্ন ২৭ এপ্রিল ২০১৯ | সংবাদটি ১৪০৪ বার পঠিত
তৃতীয় বাঙলা ডেস্ক : পোষ্য প্রাণী হিসেবে অনেকের কাছেই বিড়াল আদরের। অন্যান্য দেশের মতো অস্ট্রেলিয়াতেও অনেকে শখ করে বিড়াল পোষেন। কিন্তু দেশটিতে পোষ্য বিড়ালের চেয়ে বন বিড়ালের সংখ্যা ঢের বেশি। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে অন্তত ২০ লাখ বিড়াল হত্যা করবে।
বিড়ালের সংখ্যার আধিক্যের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না। বরং বিড়ালের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট একটি অভিযোগের কারণেই ‘বিড়াল হত্যার’ মতো নিষ্ঠুর পথে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
সেখানকার বিড়ালের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, প্রচুর সংখ্যক পাখি হত্যা করে এসব বিড়াল। অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিদিন ১০ লাখেরও বেশি পাখি হত্যা করে বন্য ও পোষা বিড়াল। বিড়ালের এই ‘খুনে স্বভাবের’ কারণে দেশটির অনেক প্রজাতির পাখি এখন বিলুপ্তির পথে। বায়োলজিক্যাল কনভারসেশন জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে বন বিড়ালরা প্রতিবছর সাড়ে ৩১ কোটি এবং পোষা বিড়াল বছরে ৬ কোটি ১০ লাখ পাখি হত্যা করে।
চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দলের নেতৃত্বে থাকা জন উইনারস্কি বলেন, এভাবে পাখি নিধন অব্যাহত থাকলে অনেক প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। মূলত এই কারণেই বিড়ালের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। মজার বিষয়, অস্ট্রেলিয়ার মতো নিউজিল্যান্ডেও বিড়াল সম্পর্কে কিছু নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাণী সংরক্ষণে সোচ্চার দেশ নিউজিল্যান্ডও ভবিষ্যতে বিড়ালবিহীন নিউজিল্যান্ড দেখতে চায়।
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাস অনুযায়ী, দেশটিতে প্রথম বিড়ালের আগমন ঘটে সপ্তদশ শতকে, নির্দিষ্ট কিছু জায়গায়। বংশ বিস্তার করতে করতে বর্তমানে দেশটির ৯৯.৯ শতাংশ এলাকায় বিস্তার ঘটেছে বিড়ালের। আর বন বিড়ালরা জঙ্গলে থাকার কারণে স্বভাবতই বেঁচে থাকার প্রয়োজনে তাদের শিকার করতে হয়।
পাখি সংরক্ষণের স্বার্থে এভাবে বিড়াল হত্যা করাকেই শ্রেয় মনে হয়েছে তাদের। অস্ট্রেলিয়ার কিছু কিছু জায়গায় তো বিড়াল হত্যা করায় মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে। কুইন্সল্যান্ডের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য কুইন্সল্যান্ডে প্রতিটি বিড়ালের খুলির জন্য ১০ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিম্যালস (পিইটিএ)।-সিএনএন | সৌজন্য – ইত্তেফাক