ম্যাক্রোঁকে থাপ্পড় দেওয়া ট্যারেলের ১৮ মাসের কারাদণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২৩:২১,অপরাহ্ন ১১ জুন ২০২১ | সংবাদটি ৫১৩ বার পঠিত
তৃতীয় বাঙলা ডেস্ক :
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে জনসম্মুখে থাপ্পড় প্রদানকারী যুবক ড্যামিয়েন ট্যারেলকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার তাকে দ্রুত বিচার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এই রায় দেন।
গত মঙ্গলবার ফ্রান্সের একদল বাসিন্দার সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে গিয়ে যুবকের রোষানলে পড়েন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। দর্শনপ্রত্যাশীদের কাতারে দাঁড়িয়ে থাকা ড্যামিয়েন ট্যারেল নামে এক যুবক প্রেসিডেন্টের গালে থাপ্পড় মারেন।
এই ঘটনায় ফ্রান্সসহ পুরো বিশ্ব হতবাক হয়ে যায়। ম্যাক্রোঁ এটাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উল্লেখ করেন। সহিংসতা ও ঘৃণা দেশের জন্য হুমকি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত যুবক ট্যারেলসহ তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত ট্যারেল দক্ষিণ-পূর্ব সেন্ট-ভ্যালিয়ের শহরে বসবাস করতেন। তার পরিচিতরা জানিয়েছেন, তিনি কট্টর ডানপন্থী মতবাদে বিশ্বাসী হলেও ঝামেলা সৃষ্টিকারী মানুষ নন।
ফ্রান্সের স্থানীয় গণমাধ্যম বিএফ এম টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছ, আদালতে প্রসিকিউটর অভিযুক্তের ১৮ মাসের কারাদণ্ড প্রদানের আহ্বান জানান। আদালত তাকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। কিন্তু ১৮ মাসের সাজার মধ্যে দুই বছরের জন্য তিনি ১৪ মাসের সাজা স্থগিত পাবেন। এই দুই বছর তিনি প্রশিক্ষণ ও মানসিক চিকিৎসা নেবেন এবং নতুন কোনো ধরনের অপরাধে জড়াবেন না। এছাড়া তিনি পাঁচ বছর পর্যন্ত কোনো অস্ত্রও বহন করতে পারবেন না।
ফ্রান্স২৪ এর খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সের একটি আদালতে অভিযুক্ত যুবককে হাজির করা হয়। শুনানিতে প্রসিকিউটর অ্যালেক্স পেরিন ঘটনাকে ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ এবং ‘স্পষ্ট সহিংসতা’ বলে উল্লেখ করেন।
আদালতে অভিযুক্ত যুবক থাপ্পড় মারার কথা স্বীকারসহ সরকারবিরোধী ইয়োলোভেস্ট আন্দোলন করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি এবং তার দুই বন্ধু দ্রোম এলাকায় প্রেসিডেন্টের সফরের সময় ডিম অথবা ক্রিম মারার পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও জানান।
মামলার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ড্যামিয়েন ট্যারেল ম্যাক্রোঁকে থাপ্পড় মারার কথা স্বীকার করেছেন। তবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তিনি থাপ্পড় দেননি বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি উল্লেখ করে প্রসিকিউটর অ্যালেক্স পেরিন এক বিবৃতিতে জানান, ট্যারেল কোনো রকম চিন্তাভাবনা ছাড়াই থাপ্পড় মেরেছেন। নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশে প্ররোচিত হয়ে হঠাৎ তিনি এই কাজ করেছেন।