কমলগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২ সড়ক, চরম দুর্ভোগে মানুষজন
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১৪:২২,অপরাহ্ন ২৯ জুন ২০১৮ | সংবাদটি ১৬২ বার পঠিত
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ধলাই ও মনু নদের বাঁধ ভেঙে সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলা সদরের প্রধান সড়কসহ গ্রামীন জনপথের চলাচলকৃত পাকা ২২টি সড়ক-কালভার্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩ কোটি টাকা।
সড়কের বিভিন্ন স্থান পানির তোড়ে ভেসে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সড়কের পিচ ও খোয়া ওঠে বড় বড় অসংখ্য গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। এলজিউডি ছাড়াও ইউনিযন পরিষদভুক্ত অনেক রাস্তার মাটি পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যায় এলজিইডি ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক গুলো দেখতে সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ।
এলজিইডি কমলগঞ্জ উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২২টি সড়কের আড়াই কিলোমিটার সড়ক ও পাঁচ থেকে ছয়টি কালভার্ট মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগস্ত সড়ক জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার না করা হলে সড়কগুলো দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। চলতি মাসের ১২ জুন থেকে কমলগঞ্জ উপজেলা ধলাই ও মনু নদের বাঁধ ভেঙে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। ধলাই নদীর বাঁধ ভেঙে কাছাকাছি অনেক সড়কের বিভিন্ন অংশ পানির তোড়ে ভেঙে গেছে।
এছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানের পিচ, খোয়া ও ইট পানির স্রোতে ভেসে গেছে। ভেঙেচুরে যাওয়া অংশে তৈরি হয়েছে ছোটবড় অসংখ্য গর্ত। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো হলো কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার-কমলগঞ্জ সদর, রামচন্দ্রপুর-সুনানন্দপুর সড়ক, কমলগঞ্জ-আদমপুর সড়ক, আদমপুর-ভানুগাছ ভায়া ইসলামপুর-মাধবপুর সড়ক, ভাণ্ডারিগাঁও-চাম্পারায়-হামহাম সড়ক, আদমপুর ইউনিয়ন অফিস-আলীনগর বাজার সড়ক, চৈত্রঘাট-নয়াবাজার সড়ক, পতনঊষার ইউনিয়নের রশিদপুর আ. মালিক মনা মেম্বার সড়ক। ভাঙ্গনকৃত সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সরাসরি যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এলজিইডি বিভাগ ছাড়াও মাধবপুর, পতনউষার পৌরসভা, ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের গ্রামীন সড়কও বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করেছে।
ওইসব ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। কষ্ট করে শত শত মানুষজন চলাচল করছেন বলে পতনউষার ইউপি চেয়ারম্যান তৈৗফিক আহমেদ বাবু জানিয়েছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কিরণ চন্দ্র দেবনাথকে বলেন, বন্যায় উপজেলার ২২ট সড়কের দুই কিলোমিটার সড়ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ঠিক না করলে বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এ কাজের জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩ কোটি টাকা লাগবে। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু করা হবে।