দেশে মহামারি ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৩৪:৩৩,অপরাহ্ন ২৫ মে ২০২১ | সংবাদটি ৫৬৯ বার পঠিত
তৃতীয় বাঙলা ডেস্ক :
আতঙ্ক ছড়ানো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাককে মহামারি ঘোষণা করেছে পাশের দেশ ভারত। এবার বাংলাদেশের এক ব্যক্তির শরীরে এই প্রাণঘাতী ‘কালো ছত্রাক’ শনাক্ত হয়েছে । তিনি বেশ কিছুদিন আগে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষায় ওই রোগীর শরীরে মিউকরমাইকোসিস পাওয়া গেছে। ওই রোগী সাতক্ষীরা থেকে এসেছিলেন। বেশ কিছুদিন আগে খুলনায় তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল।”
আক্রান্ত ব্যক্তিকে বারডেমে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠা বেশিরভাগ করোনা রোগীদের মধ্যে এ ‘কালো ছত্রাকের’ সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে।
বিরল এ সংক্রমণে মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের মতো। অনেক সময় আক্রান্তের প্রাণরক্ষায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চোখ বা চোয়ালের হাড় অপসারণ করতে হয়।গত কয়েক মাসে দেশটিতে প্রায় নয় হাজারের মতো মানুষের দেহে প্রাণঘাতী ‘কালো ছত্রাক’ বা মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
তাদের একটি বড় অংশের দেহে ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে করোনা মহামারি থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার ১২ থেকে ১৮ দিনের মধ্যে।
সাতক্ষীরার ওই ব্যক্তির ভারত ভ্রমণের ইতিহাস আছে কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক কাইয়ুম বলেন, “এখনও বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে জেনে তারপর বিস্তারিত বলা যাবে”
মিউকরমাইকোসিস কি?
মিউকরমাইকোসিস একটি বিরল সংক্রমণ। মিউকর মোল্ডের সংস্পর্শে এলে এই সংক্রমণ ঘটে। মাটি, গাছপালা, বিষ্ঠা, এবং পচা ফল ও সবজি থেকে কেউ মিউকর মোল্ডের সংস্পর্শে আসতে পারেন। মাটি ও বাতাস এবং এমনকি সুস্থ মানুষের নাকে বা কফেও এটা পাওয়া যায়।
যাদের সংক্রমণ ঘটেছে তাদের মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা যায়, সেগুলো হলো- তাদের মাথা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্তা পড়া, মুখের একপাশ ফুলে যওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া বা চোখে ব্যথা করা, চোখের পাপড়ি ঝরে পড়া, ঝাপসা দেখা এবং এক সময় দৃষ্টি হারানোর মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে নাকের পাশপাশে চামড়ায় কালচে দাগ দেখা দিতে পারে।
এ ছত্রাকে আক্রান্ত রোগীর সাইনাস, মস্তিষ্ক ও ফুসফুসে আক্রমণ করে। ডায়াবেটিস, এইডস বা ক্যান্সারে যারা আক্রান্ত, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে এ সংক্রমণ প্রাণনাশক হয়ে উঠতে পারে।