নাইরোবিতে ‘করোনাভাইরাস’ ঢঙে চুলের বেণি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১১:১৩,অপরাহ্ন ১৫ মে ২০২০ | সংবাদটি ৬২১ বার পঠিত
তৃতীয় বাঙলা ডেস্কঃ
চারদিকে আতঙ্ক ও পরিহাস সত্ত্বেও সেলুনে চলে এল দুই বালিকা। হেয়ার স্টাইলিস্টের কাছে মাথা পেতে বসে পড়ল। তাদের চারপাশ পোস্টারে ঘেরা, যাতে চুল সাজানোর হরেক শৈলীর ছবি।
কিন্তু বালিকাদের চুলে যে সাজ দেয়া হয়েছে; তা একেবারেই অভিনব। নতুন এই স্টাইলের ছবি সেলুনের পোস্টারে নেই। থাকবেও বা কি করে, এর আগে এমন শৈলী কি কেউ দেখেছে!
চুলের সাজের মধ্যে বেণি সবসময়ই দারুণ বৈচিত্র্যময়। এবার করোনাভাইরাসের ঢঙে বেণি বাঁধল বালিকারা।
প্রশ্ন হলো, বৈশ্বিক বিপর্যয়ের মধ্যে বেণিতে নতুনত্ব কীভাবে আসল? কেনিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তির নাম কিবেরা। সেখানে চুলের বেণির নতুন এই স্টাইল চালু হয়েছে।- খবর রয়টার্সের
অণুবীক্ষণে করোনা যেভাবে দেখা যায়, চুলের সাজও এতে অবিকল সেভাবেই করা হয়েছে।
মহামারী প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। অর্থনৈতিক বিপর্যয় মারাত্মক রূপ নিয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহক টানতে সেলুন মালিকরা চুল বাঁধার নতুন এই ঢং বের করেন।
নাইরোবির মামা ব্রায়ো বিউটি সেলুনে মেয়েদের চুলে বেণি করেন তিন স্টাইলিস্ট। মাথার চুলের বিভিন্ন অংশ পাট করে অন্তত এক ডজন বেণি বাঁধেন তারা।
কালো মোটা সুতা দিয়ে এসব বেণি এমনভাবে বেঁধে দেন, যাতে তা সোজা খাঁড়া হয়ে থাকতে পারে, মধ্যাকর্ষণের চাপে নুইয়ে না পড়ে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মেমব্রেনে থাকা সুঁচালো প্রেটিনের মতো দেখায় চুলের এই বিনুনি। হেয়ার স্টাইলিস্ট ডিয়ানা আন্দাই বলেন, এটা যে কেউ করতে পারেন। বেণি করার খুবই সহজ একটি পদ্ধতি।
ভাইরাসের প্রকোপে মানুষের হাত এখন খালি হয়ে পড়েছে। নগদ পয়সা ফুরিয়ে যাচ্ছে। সে কথা মাথায় রেখেই এই বিনুনির জন্য এক ডলারের কম অর্থ নেয়া হয়।
কেনিয়ায় ঘরের বাইরে যেতে বারণ থাকলেও সেলুন খোলায় বাধা নেই। এ ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা।
ডিয়ানা আন্দাই বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবন অনেক কঠিন। ভয়ানক বাস্তবতার মধ্যে দিন যাচ্ছে। এ অবস্থায় দুবেলা খাবার জোগাড় করাই আমাদের জন্য দুরূহ।
সেলুনের স্বত্বাধিকারী লেউনিয়া আবাওটা বলেন, ব্যবসায় বিপর্যয় ঘটছে। ভাইরাসের আগের দিনগুলোতে একদিনে যেখানে ২৮ ডলার আয় হতো, তা এখন এক চতুর্থাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রাহক কম আসায় আয় কমে গেছে।