প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪৪:৫৯,অপরাহ্ন ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩২৬ বার পঠিত
তৃতীয় বাঙলা ডেস্কঃ
ফ্রান্সের প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে।
এ উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থানীয় সময় সকালে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসের সূচনা করেন।
সন্ধ্যায় দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের গৌরবময় এই দিনে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও অবদানের কথা তাঁরা তুলে ধরেন।
বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও জনমানুষের জন্য ত্যাগ ও সংগ্রামের চেতনা বুকে ধারণ করার অঙ্গীকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারার প্রশংসা করে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন। যাঁদের রক্তের বিনিময়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়।
রাষ্ট্রদূ বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জন করেছে। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে এবং বাঙালি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠাই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন।
এ প্রসঙ্গে কাজী ইমতিয়াজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানান পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক অঙ্গসংগঠন ইউনেসকো তাদের ২০২০ সালের Anniversary প্রোগ্রামের তালিকায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে অন্তর্ভুক্ত করে এই আয়োজনকে আন্তর্জাতিকীকরণ করেছে এবং যৌথভাবে এ আয়োজনে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। এ অর্জনের শুরু থেকে দিকনির্দেশনার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
এ সাফল্যের অংশীদার ফ্রান্স প্রবাসী সব বাংলাদেশিকেও তিনি ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব বর্ষ’ আয়োজনে প্রবাসী সবার অংশগ্রহণ ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।- বিজ্ঞপ্তি