নেইমারদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ম্যান সিটি
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৫৭:৩৯,অপরাহ্ন ০৫ মে ২০২১ | সংবাদটি ৫০৯ বার পঠিত
তৃতীয় বাঙলা ডেস্ক :
ম্যানচেস্টার সিটিকে ঘিরে পেপ গার্দিওয়ালার লক্ষ্য অনেক বড়। ইংলিশ দলটিকে এনে দিতে চাইছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। আপাতত কক্ষপথেই আছে তার দল। ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের বড় বাধা যে অতিক্রম করেছে ম্যান সিটি! মঙ্গলবার রাতে নেইমারদের পিএজসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সিটিজেনরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ স্কোরলাইন রেখে ম্যান সিটি অনায়াসে এখন ট্রফিছোঁয়া দূরত্বে। ১০ বছর ধরে ট্রফি না দেখা গার্দিওয়ালা এখন স্বপ্ন দেখতে পারেন।
আর ক্লাবটির ফাইনাল স্বপ্নপূরণে সহায়ক ভূমিকা রেখেছেন আলজেরিয়ান উইংগার রিয়াদ মাহরেজ। এই ৩০ বছর বয়সী ফুটবলার প্রথম লেগে গোল করেছিলেন একটি। আর দ্বিতীয় লেগে তার কাছ থেকে এসেছে জোড়া গোল!
শিলাবৃষ্টির কারণে ইত্তিহাদের মাঠটাকে মনে হচ্ছিল বরফময়! এমন প্রতিকূল পরিবেশে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে লড়াই করতে হয়েছে। এমনিতে আগের দেখাতে ম্যাচ হেরেছে। তাই এই ম্যাচটিতে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে সেভাবে নেইমাররা পারফরম্যান্স দেখাতে পারলেন কই? যেখানে জয় প্রয়োজন ছিল। সেখানে কিনা আবারও হার দেখে করুণভাবে বিদায় নিতে হলো!
ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে শুরু থেকে কিছুটা চাপেই ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও বল দখলের লড়াইয়ে দুই দল প্রায় সমানে সমান। ৭ মিনিটে তো পেনাল্টি পেয়েই যাচ্ছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই। কিন্তু ভিডিও প্রযুক্তির মাধ্যমে রেফারি সিদ্ধান্ত পাল্টে দেন।
তবে চার মিনিট পরই গোলের দেখা পেয়েছে গার্দিওয়ালার দল। ১১ মিনিটে ডি ব্রুইয়েনের লক্ষ্যে নেওয়া শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন হয়ে চলে যায় রিয়াদ মাহরেজের দিকে, এই উইংগার লক্ষ্য ভেদ করেছেন অনায়াসে।
১৬ মিনিটে অবশ্য দুর্ভাগ্য প্যারিস সেন্ট জার্মেইর। মারকুইনহোসের হেড ক্রস বারে প্রতিহত হলে ম্যাচে সমতা আনা যায়নি। একটু পর দি মারিয়ার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
যোগ করা সময়ে মাহরেজের আরও একটি প্রচেষ্টা গোলকিপার নাভাস ফিরিয়ে দিলে ম্যানচেস্টার সিটির আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি।
বিরতির পর সুযোগ কম পায়নি ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও তাদের দুটি প্রচেষ্টা গোলকিপার প্রতিহত করেন। অন্যদিকে নেইমাররা পরিষ্কারভাবে সেভাবে গোল করার মতো সুযোগ কমই পেয়েছেন।
৬৩ মিনিটে অবশ্য ম্যানচেস্টার সিটি ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ফোডেনের ক্রসে ফাঁকায় থাকা মাহরেজ গোলকিপার নাভাসের পাশ দিয়ে ২-০ করেন।
মাঝে মধ্যে অবশ্য দুই দলের খেলোয়াড়দের বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। ৬৮ মিনিটে দি মারিয়া লাল কার্ড দেখে বিদায় নিলে পচেত্তোনিওর দলকে ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে।
৭৭ মিনিটে ফোডেনের আরও একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে আর গোল পাওয়া হয়নি।
যোগ করা সময়ে নেইমারের ফ্রি-কিক ক্রস বারের অনেক ওপর দিয়ে গেলে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে চূড়ান্ত হতাশ হতে হয়।
রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়দের উল্লাস ছিল দেখার মতো। আর হবেই না বা কেন। প্রথমবারের মতো যে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে দল!