যুক্তরাষ্ট্রে সিটি কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক ৩৭ ব্রুকলিন মিছবা আবদীনের নির্বাচন নিয়ে হতাশা
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৬:৫৩,অপরাহ্ন ১৪ মে ২০২০ | সংবাদটি ৮৯৩ বার পঠিত
মোঃ জাকির হোসেন,নিউইয়র্ক থেকে
যুক্তরাষ্ট্র সিটি কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক-৩৭ ব্রুকলিন পদে মিছবা আবেদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আদৌ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে বাঙ্গালী কমিউনিটিতে সংশয় দেখা দিয়েছে ।আগামী ১৯ মে আপিল (মোসন) রায়ের প্রেক্ষিতে ধুয়াশা দুর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মিছবা আবদীন আশাবাদী ব্যালেটে তাঁর নাম আসবে।সিলেট জেলার বিয়ানাবাজার পৌরশহরের খাসাড়ী পাড়া গ্রামে তিনির দেশের বাড়ি।
জানা যায়,কবিড-১৯ এর কারনে ষ্টিট গর্ভনর সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষে নির্দিষ্ট সময়সিমা বেধে দেন কাউন্সিলারদের ।
ভোটারদের স্বাক্ষর ৩০ ভাগ অর্থ্যাৎ হিসাব অনুযায়ী ১৩৫ জন ভোটারের স্বাক্ষর সহ প্রয়োজনীয় কাগজাদি জমা দেয়ার বিশেষ আইনের আদেশ প্রধান করেন।
এলক্ষে কাউন্সিলর প্রার্থী মিছবা আবদীন ৩৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ।সাক্ষর যাচাই করে ১৭১ জনের স্বাক্ষর সংক্রান্ত কাগজাদি জমা করেছিলেন।সব কিছু টিক টাক ছিল। অবশেষে ড্যামোকেট মিশিন কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কিংকান্টির ড্যামোকেট প্রলিটিক্স তারাই নিয়ন্ত্রণ করে।এজন্য ড্যামোকেট মিশিনে চায় না তাদের বাহিরে অন্য কেউ আসতে ।তাই সম্ভাব্যদের এখানেই থামিয়ে দেওয়ার কৌশল।বাহির থেকে প্রতিনিধি বা সম্ভাব্যময়ী প্রার্থী বোর্ড অফ ইলেকশনের ড্যামোকেট মিশিনের কাছে সবাই বন্দি।এটি এক ধরনের মিশিনের সাথে মানুষের যুদ্ধ। এ যুদ্ধ জয় করা খুব চ্যালেনজিং অনেকটা ভাগ্যের খেলা।মিশিনে পুরনো চার্টাড আইনে মিছবা আবদীনের ব্যালটে নাম আটকিয়ে দিলো।
তথ্যমত ২০১৪ ইং নিউইয়র্ক চার্টাড আইনে ব্যালট থেকে মিছবা আবদীনর নাম ছিটকে পড়ে যায়।সাময়িক হওয়া কবিড-১৯ এর আইন বিবেচিত নয় বলে।এ সময় তিনি হাই কোর্টের আশ্রয় নিলে পুনরায় ব্যালটে নাম ফিরে আসে।তখন তাঁর এ রায়ের বিরুদ্ধে ৫ জন জর্জ আপিল (মোসন )করে বসেন। আগামী ১৯ মে মোসন হবে। মোসন আমলে নিলেঐ দিন রায় হবে । যদি মোসন না নেয় তাহলে নির্বাচনী আইনে তিঁনি নির্বাচন করতে পারবেন না।তবে সো করতে পারবেন।
বিশেষ করে ড্যামোকেট মিশিনে আটকা পড়ে অনেকেই হতাশ হয়ে যান।কারন আদালতের শরনাপন্ন হলে অনেক টাকার প্রয়োজন।তবে মিছবা আবদীন থেমে নেই এক -দু করে তৃতীয় ধাপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।তবে তিনি আশাবাদী।