লকডাউন থেকে বেরিয়ে এসেছে ফ্রান্স
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫৩:৩৫,অপরাহ্ন ১২ মে ২০২০ | সংবাদটি ৩৮১ বার পঠিত
শাবুল আহমেদ
করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে জারি করা কঠোর লকডাউন থেকে বেরিয়ে এসেছে ফ্রান্স। সোমবার থেকে দেশটিতে খুলে দেয়া হয়েছে দোকানপাট, কারখানা ও কিছু স্কুল। লকডাউনে চাপের মুখে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সতর্কভাবে দেশে জীবনযাপন স্বাভাবিক করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফরাসি সরকার। সম্প্রতি দেশটিতে করোনা সংক্রমণের হার কমেছে। তবে লকডাউন প্রত্যাহারে একইসঙ্গে দেখা দিয়েছে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরুর। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুসারে, বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। এখন পর্যন্ত সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮৩ জন করোনা রোগী।
নিশ্চিত আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। সোমবার থেকে দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজে ফেরার অনুমোদন দেয়া হয়েছে জনগণকে। স্কুলগুলোও ধীরে ধীরে খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। লকডাউন প্রত্যাহারের চিত্র ফুটে উঠেছে ফ্রান্সের রাস্তায়। আট সপ্তাহের বেশি সময় পর সোমবার প্যারিসে দেখা গেছে গাড়ির ভীড়। অবশ্য যাত্রীদের মাস্ক পড়তে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো সাধারণ ব্যক্তি প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন। খুলেছে দোকানপাট। তবে এখনো অনেকেই সতর্কতা অবলম্বন করে ঘরের ভেতর অবস্থান করছেন। রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্সের লকডাউন প্রত্যাহারের পরিকল্পনাটি ভারসাম্য বজায় রেখে করা হয়েছে। প্যারিসসহ কিছু ‘রেড জোনে’ আরোপ রয়েছে তুলনামূলক কঠোর বিধিনিষেধ। প্রাথমিক পর্যায়ে, এই সপ্তাহ থেকে খুলে দেয়া হয়েছে অফিস-আদালত, কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক স্কুল। মাসের শেষের দিকে খুলে দেয়া হবে কিছু মাধ্য স্কুলও। কোনো শ্রেণিকক্ষে ১৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী অবস্থান করতে পারবে না। এছাড়া মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়েছে। পুরো দেশে অবশ্য লকডাউন প্রত্যাহারের সীমা একইরকম নয়। করোনা মহামারিতে পিছিয়ে পড়েছে ফ্রান্সের আর্থিক প্রবৃদ্ধি। ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই অর্থনৈতিক শক্তির চলতি বছরের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা করেছেন অর্থনীতিবিদরা। এর প্রভাব পড়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রনের জনপ্রিয়তার উপরও। এপ্রিলে করোনা মোকাবিলায় তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে তা ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩৪ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।