ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় ৭১২ জনের মৃত্যু, মোট ৮ হাজার ১৬৫
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩৭:৫৬,অপরাহ্ন ২৭ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ৫৮৮ বার পঠিত
জমির হোসেন, ইতালি থেকে
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আঘাতে ইতালিতে ক্রান্তিলগ্ন চলছে। প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। বাড়ছে সবার মনে আতংক। বন্দী জীবনে প্রায় ৬ কোটি জনগণ। এরমধ্যে বাংলাদেশিরাও হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় আবারও ৭১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে হাজার ৮ হাজার ১৬৫ জনে। একদিনে নতুন আক্রান্ত ৬ হাজার ১৫৩। দেশটিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬১২। চিকিৎসা শেষে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ হাজার ৩৬১।
মোটা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৩৯। চিকিৎসাধীন ৬২ হাজার ১৩ জন। অন্যদিকে চীনা ও ইতালির পর মৃত্যুর লাইন লম্বা হচ্ছে স্পেনেও। সেখানে একদিনে করোনায় কেড়ে নেয় ৪ হাজার ৯৮ প্রাণ। এনিয়ে স্পেনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজারেরও বেশি।
আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোটা ৫৬ হাজার ১৯৭। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ হাজার ১৫ জন। বৃহস্পতিবার একদিনে ৬ হাজার ৬৮২ জন। সরকার নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও মৃত্যু যেন কমছে না। ভাল নেই স্পেনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশিরা।
স্পেনের টেনেরিফ দক্ষিণ দ্বীপে বাস করেন মুহাম্মদ ফরিদ হাসান। তিনি যুগান্তরকে জানান, আমাদের দ্বীপে বাংলাদেশি তেমন একটা নেই বললেই চলে। পর্যটক বেশি আসে। কিন্তু দ্বীপটিতে ইতালিয়ান এক পর্যটক করোনায় পজেটিভ ধরা পরেছে।
এরপর আস্তে আস্তে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে সরকারের নানা রকম পদক্ষেপের ফলে দ্বীপে আমরা বাংলাদেশিরা ভাল আছি। এরপরেও একটু আতংক এমনিতেই চলে আসে। সবাই আমরা হোম কোয়ারেন্টিনে আছি।
করোনা মোকাবেলায় জনগণের জন্য বিভিন্ন ভাল পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী কোনতে। চলাফেরা অনেক সীমিত করা হয়েছে। প্রশাসনের নজরও বাড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের জীবন রক্ষা করতে একের পর এক পদক্ষেপের কমতি নেই সরকারের।
চীনের উহা থেকে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ পুরো বিশ্বকে অস্থিরের মধ্যে রেখেছে। চারিদিকে শুধু মৃত্যু আতংক। সাধারণ জ্বর, কাশিও যেন এখন করবোনার লক্ষ্মণ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সমস্যাগুলো মানুষের আগে পরে ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস এখন এই আকার ধারণ করায় সবার মাঝে একটু বেশি আতংক কাজ কাজ করছে।
অন্যদিকে রোমের পৌর মেয়র রাজ্জি বলেন, সমস্যা সমাধানে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহবান করেছেন। সবাইকে বাসায় থাকতে নির্দেশ দেন। ইতালির মাস্ক সমস্যাও অনেকটা সমাধানে কাজ করছে তার সরকার। খুব প্রয়োজনীয় ফ্যক্টরি ছাড়া সবই বন্ধ রাখা হয়েছে। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়েছে করোনা মোকাবেলা করতে।