ম্যানিব্যাগ ফেরত দিয়ে প্রশংসিত বাংলাদেশী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৭:০৬,অপরাহ্ন ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৩০ বার পঠিত
তৃতীয় বাঙলা ডেস্কঃ
ইতালির রোমে রাস্তায় পড়ে থাকা একটি মানিব্যাগ কুড়িয়ে নিয়ে প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশি এক তরুণ। মানিব্যাগটিতে দুই হাজার ইউরো (১ লাখ ৮৬ হাজার টাকার বেশি), কয়েকটি ক্রেডিট কার্ড, চালকের সনদ ও ব্যক্তিগত কিছু কাগজপত্র ছিল। তবে মানিব্যাগটি ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কোনো পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই তরুণ। তাঁর সোজা কথা, এই মানিব্যাগ তো তাঁর না, মানিব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে তিনি তো ব্যতিক্রম কিছু করেননি!
ওই বাংলাদেশি তরুণকে নিয়ে ইতালির স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। তরুণকে নিয়ে গতকাল সোমবার বিবিসি অনলাইনও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে তরুণের নাম মোসান রাসেল (২৩) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মানিব্যাগটিতে দুই হাজার ইউরো (১ লাখ ৮৬ হাজার টাকার বেশি), কয়েকটি ক্রেডিট কার্ড, চালকের সনদ ও ব্যক্তিগত কিছু কাগজপত্র ছিল। তবে মানিব্যাগটি ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কোনো পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই তরুণ। তাঁর সোজা কথা, এই মানিব্যাগ তো তাঁর না, মানিব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে তিনি তো ব্যতিক্রম কিছু করেননি!
ওই বাংলাদেশি তরুণকে নিয়ে ইতালির স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। তরুণকে নিয়ে গতকাল সোমবার বিবিসি অনলাইনও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে তরুণের নাম মোসান রাসেল (২৩) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার ইতালির রাজধানী রোমের রাস্তায় মানিব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখে রাসেল তা তুলে নিয়ে সোজা চলে যান পুলিশের কাছে। পরে রাসেলের হাত থেকে প্রকৃত মালিকের কাছে মানিব্যাগটি হস্তান্তরের আয়োজন করে পুলিশ। মানিব্যাগটির মালিক ইতালিয় এক ব্যবসায়ী।
সততার জন্য রাসেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। তবে গত রোববার ইতালির দৈনিক ‘লা রিপাবলিকা’য় দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাসেল বলেন, ‘আমি ব্যতিক্রম কিছু করিনি। কারণ মানিব্যাগটি তো আমার না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানিব্যাগে কত অর্থ ছিল, সেটাও আমি জানতাম না, কারণ আমি তা গুনে দেখিনি। আমি শুধু সেটি তুলে নিয়ে পুলিশের কাছে গেছি। এটা সৎ হওয়ার বিষয়, যা হতে আমার পরিবার আমাকে শিখিয়েছে।’
রাসেল রোম শহরের কেন্দ্রে একটি ছোট্ট দোকান চালান। সাত বছর ধরে তিনি শহরটিতে বসবাস করছেন। তিনি মানিব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো পুরস্কার নিতে চাননি। বরং মানিব্যাগের মালিক এখন থেকে তাঁর দোকানের নিয়মিত খরিদ্দার হলে তিনি খুশি হবেন বলে জানিয়েছেন।