পর্তুগাল ইমিগ্রেশন হাই কমিশনের মাল্টিকালচ্যারাল একাডেমি পরিদর্শন।
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৩৫:৪০,অপরাহ্ন ২১ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৫৭৩ বার পঠিত
মোঃ রাসেল আহম্মেদ, লিসবন, পর্তুগাল থেকে
পর্তুগাল ইমিগ্রেশন হাই কমিশনার পেদ্রো কালাদো পর্তুগাল মাল্টিকালচ্যারাল একাডেমি পরিদর্শন ও এক মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহণ করেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকাল পাঁচ টায় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ক্যম্পাসে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সমস্যা, সম্ভাবনা ও বিভিন্ন দাবী সরাসরি উপস্থাপন করা হয়।
পর্তুগাল ইমিগ্রেশন হাই কমিশনের সহকারী অফিসার মঈন উদ্দিন আহমেদ এর সঞ্চালনায় শুরুতে একাডেমির চলমান বিভিন্ন কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন একাডেমির পর্তুগীজ ভাষা শিক্ষিকা সোফিয়া।
এসময় বক্তব্যকরেছেন, একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় পর্তুগিজ মানুষজন। অনন্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল লিসবন সিটি কাউন্সিলর জনাব রানা তসলিম উদ্দিন, হাই কমিশনের সহকারী ভাসকো মাল্টা, একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল আহম্মেদ, কোষাধ্যক্ষ শওকত আজিজ, আই এস সি টি ই বিশ্বিবদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক সিসিলিয়া, স্থানীয় এন জি ও কর্মকর্তা পেদ্রো সহ আরো অনেকে।
এরপরে শুরু হয় আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের নানান মতামত ও অভিজ্ঞতা প্রকাশ। মাননীয় হাই কমিশনার অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে বিভিন্ন আলোচকদের কথা শুনেছেন এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে পর্তুগিজ হাইকমিশন স্থাপনের ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে সুপারিশের আশ্বাস প্রদান করেন। পাশাপাশি স্থানীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পেয়েছে উক্ত আলোচনায়।
মাননীয় হাই কমিশনার তার বক্তব্যে একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং অতিদ্রুত একাডেমিকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে যথাযথ সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মোঃ সম্রাট বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে তার আগমনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। আমাদের এই অসামান্য প্রয়াসে তাকে পেয়ে আমরা উজ্জীবিত। আমাদের এই অভিযাত্রায় তার পর্দাপনে আশাকরি নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। তিনি আরো আশা প্রকাশ করেন, সামনের দিনগুলোতে মাননীয় হাই কমিশনার এবং তার প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
উল্লেখ পর্তুগাল মাল্টিকালচ্যারাল একাডেমির পর্তুগীজ ভাষা শিক্ষা কোর্স ছাড়াও রয়েছে বাচ্চাদের বাংলা, ইংরেজি, পর্তুগিজ ও আরবি শিখার ব্যবস্থা, অভিবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের প্রফেশনাল কোর্স, মহিলাদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ফ্রী কম্পিউটার কোর্স ও অভিবাসন আইনজীবীর আইনি সহযোগিতা।