মুক্তির দিনগুলো ফুরিয়ে যাচ্ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪৯:১০,অপরাহ্ন ২৯ মে ২০১৯ | সংবাদটি ৪৪৮ বার পঠিত
রমজানের শেষের এই দশকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন রমজানের শেষ দশক উপস্থিত হতো, তখন রাসুল (সা.) কোমর শক্ত করে বাঁধতেন অর্থাৎ রাত্রি জাগতেন এবং পরিবারের সদস্যদের জাগিয়ে তুলতেন।
(বুখারি, হাদিস : ১৯২০)
রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে এমন মুজাহাদা করতেন, যা তিনি অন্য সময় করতেন না। (মুসলিম, হাদিস : ১১৭৫)
তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত, রমজানের শেষ দশকে মহান আল্লাহর কাছে দোজখের আগুন থেকে মুক্তি কামনা করা। পূর্বের কৃতকর্মের ওপর তওবা করা। হজরত উম্মে ইসমত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, রমজানের শেষ দশকে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য গুনাহগারকে দোজখের কঠিন আজাব থেকে মুক্তি দান করেন।
রমজান ইবাদতের মৌসুম। এই মৌসুমে আমলের ঝুড়ি যে যত বেশি ভারী করতে পারবে, সে তত বেশি সফল। ইবাদতের পাশাপাশি অতীতের গুনাহ থেকে ক্ষমা চাওয়াও (ইস্তিগফার) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। কারণ পাপের ভারে ফুটো হয়ে যাওয়া আমলের ঝুড়িকে ইস্তিগফারের আস্তরণে বন্ধ করা না গেলে সব আমলই বরবাদ হয়ে যেতে পারে। এ কারণে রাসুল (সা.) বলেছেন, সেই ব্যক্তির অবস্থা অতি উত্তম, কিয়ামতের দিন যার আমলনামায় প্রচুর পরিমাণে ইস্তিগফার পাবে। (ইবনে মাজাহ)
মানুষ ইবলিস শয়তানের ধোঁকায় পড়ে গুনাহ করবেই। কিন্তু মানুষের গুনাহর চেয়ে আল্লাহর রহমত হাজার হাজার কোটি গুণ বেশি। তাই বান্দা যখনই মহান আল্লাহর দরবারে এসে তওবা করে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। হজরত আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘শয়তান বলেছিল, হে আমার প্রভু, তোমার সম্মানের শপথ, আমি তোমার বান্দাদের বিপথগামী করতেই থাকব, যতক্ষণ তাদের রুহ শরীরে বিদ্যমান থাকে। তখন আল্লাহ বলেছিলেন, আমি আমার সম্মান, পরাক্রম ও উচ্চ মর্যাদার শপথ করে বলছি, আমি তাদের ক্ষমা করতেই থাকব, যতক্ষণ তারা আমার নিকট ক্ষমা চাইতে থাকবে।’ (আহমাদ)
তাই রমজানের শেষ দশক প্রত্যেক মুমিনের কাটুক তওবা ও ইবাদতের মাধ্যমে।