তুসকোলানা সমাজ কল্যান সমিতির বৈশাখী উৎসব ও মে দিবস উদযাপন

মেহেনাস তাব্বাসুম শেলি , রোম প্রতিনিধিঃ

১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানী রোমে তুসকোলানা সমাজ কল্যান সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ১৪২৬ এর পুর্ণমিলণী অনুষ্ঠান। শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রবাসী বাঙ্গালীরা দিনব্যাপী আনন্দ উৎসবে মেতেছিল অন্যরকম এক মিলন মেলায়।
বাংলার সবুজ মাঠ পেরিয়ে বিশ্ব প্রান্তরে সূর্যের আর পান্তাভাতের সংস্কৃতির হাসি তেমন দেখা না মিললেও বৈশাখের রঙ, ভালবাসার রঙ, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় একে অপরের সান্নিধ্যে শ্রদ্ধা, ভালবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়-মন ভরে উঠেছিল প্রবাসী জীবনের জয়গানে। শিশু-কিশোর আর নারী পুরুষের পদভারে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল তুসকোলানা বৈশাখী মেলার পার্ক।

বৈশাখ পুর্ণমিলণী অনুষ্ঠানে ছিল রং বেরং এর বাহারী শাড়ী, বাংলার ঐতিহ্যময় খাবারসহ আকর্ষণীয় বিভিন্ন ধরণের ছোট ছোট শিশু কিশোরদের আনন্দ উল্লাস |

পরিবেশিত হয় প্রবাসী শিল্পীদের কন্ঠে সংগীত, কবিতা ও নৃত্য। নতুন বর্ষবরণ উৎসবের পূর্ণমিলন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তুসকোলানা সমাজ কল্যান সমিতির সভাপতি জাহিদ হাসান খোকন, এতে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান হাওলাদার ও ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের আমন্ত্রণে ইমরান চৌধুরী বাবুর প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী ইদ্রিস ফরাজী, সাধারন সম্পাদক হাসান ইকবাল, সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর ফরাজী, খন্দকার নাসিরউদ্দিন, জিয়াউল হক জিয়া, এম এ রব মিন্টু, কিটন সিকদার, মহিলা সমাজ কল্যান সমিতি সভাপতি লায়লা শাহ্, তুসকোলানা নারী সংস্থার সভাপতি মেরিন খান, বাংলাদেশ বাংকার ব্যবসায়ী সমিতি ইতালী, বরিশাল বিভাগ সমিতি, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, গাজীপুর জেলা সমাজ কল্যান সমিতির, পিরোজপুর জেলা সমিতি, পাবনা জেলা সমিতি সহ রোমের আঞ্চলিক সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

রোমের পপসম্রাট বাবু বাঙাল, মিজানুর রহমান, সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রবাসী বাঙ্গালীদের সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে রাখে। এছাড়াও রোমের নৃত্য শিল্পীরাও নৃত্য পরিবেশন করেন। এতে প্রবাসী বাঙ্গালীদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উপোভোগ করেন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি ।

তুসকোলানা সমাজ কল্যান সমিতির সভাপতি জাহিদ হাসান খোকন বক্তব্যতে বললেন, আমাদের রয়েছে সুন্দর একটি সংস্কৃতি, যেখানে আমরা বেড়ে উঠেছি, আমাদের সেই ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই।

সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্যতে বলেন, নতুন বছর সবার জীবনে আনন্দ আর অনাবিল শান্তি বয়ে আনবে, দেশের সেই রমনার বটমূল এক ঘন্ড বাংলাদেশকে আমরা এখানে তুলে ধরেছি। দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনে পুরো অনুষ্ঠানটি আমরা সাজিয়েছি বাংলাদেশের রমনার সেই বটমূলের আঙ্গিকে যেখানে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও প্রবাসে আমরা ফিরে পেয়েছিলাম লাল-সবুজের বাংলাদেশকে।