বিএনপির নাটকীয় সিদ্ধান্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩২:২৮,অপরাহ্ন ৩০ এপ্রিল ২০১৯ | সংবাদটি ৪২০ বার পঠিত
শেখ মামুনূর রশীদ ও হাবিবুর রহমান খান
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির চার সংসদ সদস্য শপথ নিয়েছেন বলে জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার বিকালে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে তারা শপথ নেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখনও শপথ নেননি। তিনি সময় চেয়ে স্পিকার বরাবর চিঠি দিয়েছেন। এদিকে শপথের পর একাদশ জাতীয় সংসদের চলতি দ্বিতীয় অধিবেশনের চতুর্থ কার্যদিবসে যোগ দিয়েছেন বিএনপির ৫ সংসদ সদস্য। সোমবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে শপথের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করে রাত পৌনে আটটায় তারা অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন।
শাসক দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, সংবিধান বিশেষজ্ঞসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বিএনপির পাঁচজন এবং গণফোরামের আরও দু’জনসহ মোট সাত এমপির শপথ গ্রহণকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন।
একাদশ সংসদের প্রথম দিন থেকে শপথ না নেয়ার বিষয়ে অনড় ছিল বিএনপি। দলের এমপিদের শপথ ঠেকানোর বিষয়ে মরিয়া ছিলেন শীর্ষ নেতারা। প্রথমে একজন শপথ নেয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ ইস্যুতে দফায় দফায় বৈঠক করেন।
এমপিদের নিয়ে আবার তাদের ছাড়াও বৈঠক করেন। শপথ নিলে পরিণতি কি হতে পারে সে ইঙ্গিতও দেয়া হয়। সব মিলে শপথ ইস্যুতে বিএনপির মধ্যে নানা ধরনের নাটক হয়। শেষ দিন এসে তারা হঠাৎ করেই শপথের বিষয়ে নাটকীয় সিদ্ধান্ত নেন।
চলতি সংসদের মেয়াদের ৯০তম দিনে সোমবার হঠাৎ ৪ এমপিকে শপথ গ্রহণের নির্দেশ দেন দলের হাইকমান্ড। এভাবে হঠাৎ নির্দেশ দেয়াকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা ধরনের আলোচনা হয়। রাতে দলের মহাসচিব সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই ৪ এমপি শপথ নিয়েছেন। এরপরই অবসান ঘটে এ সংক্রান্ত সব জল্পনা-কল্পনার।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। শপথ নেয়া এই চারজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম এবং বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন। ২৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান শপথ গ্রহণ করেন।
সোমবার বিকালে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, বিএনপির সংসদ সদস্য মো. জাহিদুর রহমান, দলের আরেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া উপস্থিত ছিলেন।
যে কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন : সংসদে শপথ না নেয়ার বিষয়ে অনড় সিদ্ধান্ত থেকে হঠাৎ সরে আসায় দলটির ভেতরে এবং বাইরে চলছে নানা আলোচনা। গুরুত্বপূর্ণ এ সিদ্ধান্ত বদলের পেছনে নানা কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন তারা। এদিকে বৃহস্পতিবার জাহিদের শপথের পর বাকিদের এ পথ থেকে ফেরাতে নানাভাবে চেষ্টা চালান দলের নীতিনির্ধারকরা। নির্বাচিতদের সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত— চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কথা বলছেন।
তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচিতদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। সেখানে স্কাইপে নির্বাচিতদের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সংসদে না যাওয়ার ব্যাপারে তাদের অনুরোধ করেন। কিন্তু নির্বাচিতরা তাদের অবস্থানে অনড় ছিলেন। উল্টো তারা সংসদে যাওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এরপর স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নির্বাচিতদের নিয়ে পৃথক বৈঠক করেন।
সেখানেও তাদের শপথ না নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু বৈঠকে পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে তাদের অবস্থান দেখে স্থায়ী কমিটির অনেকেই সন্দেহ করেন তাদের শপথ থেকে বিরত রাখা যাবে না। এরপর স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান। নির্বাচিতদের মনোভাব তাকে অবহিত করেন। বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দলের সাংগঠনিক বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, রোববার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকেই তারেক রহমান শপথের পক্ষে কথা বলেন। আলোচনায় স্থায়ী কমিটির সব নেতাই শপথের বিপক্ষে মতামত দেন। তবে তারা এ-ও বলেন, এই শপথের সঙ্গে যদি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি থাকে, তাহলে তাদের আপত্তি নেই।
আর যদি তা-ই হয়, তাহলে আরও আগে এ নিয়ে আলোচনা হল না কেন? আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্ত দিয়ে এমপি শপথ নিতে পারত? জাহিদুর রহমানকে কেন বহিষ্কার করা হল? এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে তারেক রহমান তাদের জানান, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন।
সূত্র জানায়, দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে এবং গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার স্বার্থেই শেষ মুহূর্তে সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে দলের সিনিয়র নেতা ছাড়াও কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর পরামর্শ নেন তিনি। সবাই সংসদে যাওয়ার পক্ষে মত দেন।
সূত্র জানায়, নির্বাচিত চারজন শপথ নিতে যাচ্ছেন সোমবার সকাল থেকেই এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। সংসদ ভবনে গণমাধ্যম কর্মীরাও ভিড় জমান। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও তারা সংসদ ভবনে উপস্থিত হননি। এরপর তারা শপথ নিচ্ছেন না এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
সূত্র জানায়, শপথ নিতে যেতে বিলম্ব হওয়ার কারণ ছিল দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষা। নির্বাচিত চারজন গুলশানের একটি বাসায় একসঙ্গে অবস্থান করেন। দুপুরের পর দলের হাইকমান্ড থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই তারা সংসদ অভিমুখে রওয়ানা হন। বিকালে তারা শপথ নেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির মোট ছয়জন জয়ী হন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন আরও দু’জন। নির্বাচনের পরপরই ভোটে ব্যাপক অনিয়ম এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানোর পাশাপাশি তারা শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গণফোরামের দুই সংসদ সদস্যের মধ্যে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ গত ৭ মার্চ শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেন।
তাকে অনুসরণ করে গণফোরামের প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত দলটির আরেক নেতা মোকাব্বির খান গত ২ এপ্রিল শপথ নেন। গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শপথ নেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির মো. জাহিদুর রহমান। শপথগ্রহণের সময়সীমার শেষ দিনে এসে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বিএনপির বাকি চারজনও সংসদ সদস্য হিসেবে শপ গ্রহণ করলেন।
শপথের পর এমপিদের প্রতিক্রিয়া : দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে শপথ নিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হারুনুর রশীদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তার।
শপথগ্রহণ শেষে হারুনুর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশে, তার সঙ্গে কথা বলে দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদে এসেছি। দেশে গণতন্ত্র নেই। কথা বলার সুযোগ নেই। তাই কথা বলতে সংসদে এসেছি। সংসদে যোগ দিয়ে আমরা আমাদের নেত্রীর (খালেদা জিয়া) মুক্তির দাবি জানাব। একই দাবি করেন উকিল আবদুস সাত্তার। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘উপরের নির্দেশেই সংসদে যোগ দিয়েছি।’
বিভিন্ন দলের নেতা, সংবিধান বিশেষজ্ঞসহ সুশীলসমাজের প্রতিনিধিদের প্রতিক্রিয়া : শাসক দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, সংবিধান বিশেষজ্ঞসহ সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরা বিএনপির পাঁচজন এবং গণফোরামের আরও দুইজনসহ মোট সাতজন সদস্যের শপথগ্রহণকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন।
তারা মনে করেন, সংখ্যায় কম হলেও বিএনপি এবং গণফোরামের সদস্যরা ইচ্ছা করলে সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তারা জনগণের কথা বলতে পারবেন। মানুষের সুখ দুঃখের কথাও সংসদে বলতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বিএনপির সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি বিএনপির সদস্যরা শপথ নেবেন। শপথ নেয়া ছাড়া বিকল্প তাদের হাতে কিছু ছিল না। যারা শপথ নিয়েছেন তাদের আমরা অভিনন্দন জানাই, সাধুবাদ জানাই। আশা করি তারা সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।’
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, শেষ মুহূর্তে হলেও বিএনপির সদস্যরা শপথ নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আমি মনে করি তাদের আরও আগেই সংসদে যোগ দেয়া উচিত ছিল।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘দেরি হলেও বিএনপি সদস্যদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। এটা ভালো দিক।’
বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, একজন নির্বাচিত সদস্য শপথ নেবেন, সংসদে যাবেন, জনগণের পক্ষে কথা বলবেন- মানুষ এমনটাই প্রত্যাশা করে। বিএনপির সদস্যরা শপথ নিয়ে সঠিক কাজই করেছেন।
নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতিক্রিয়া : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দলের নির্বাচিতদের শপথকে স্বাগত জানিয়েছেন। সোমবার গণমাধ্যমে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমপিদের শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এটা দলের ও জনগণের জন্য ভালো।
আমরা আমাদের এমপিদের মাধ্যমে সংসদে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নেতাকর্মীদের জেল-জুলুম নিয়ে কথা বলতে পারব। একই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কথা বলেছেন বগুড়া জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম দিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সন্দেহ থাকলেও পরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংবাদ মাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে নিশ্চিত হন এবং সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
সংসদ অধিবেশনে যোগ দিলেন বিএনপির পাঁচ এমপি : শপথ নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদের চলতি দ্বিতীয় অধিবেশনের চতুর্থ কার্যদিবসে যোগ দিয়েছেন বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য। সোমবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে শপথগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে তারা অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন।
বিএনপির পাঁচজনের মধ্যে বিরোধী দলের সারিতে অর্থাৎ চার নম্বর সারিতে জাসদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতারের ডান পাশে বসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। তার পাশে বসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তার। আর বাকি তিনজন বসেন একেবারে পেছনের সারিতে। অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করার পর সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে তারা করমর্দন করেন। এ সময় তাদের সিট দেখিয়ে দেন সংসদের আর্দালিরা।
সৌজন্য – যুগান্তর