নিয়মনীতির বেড়াজালে ব্রিটেনে পড়ালেখা চালানোই কঠিন
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৩১:৫৭,অপরাহ্ন ০২ জুলাই ২০১৮ | সংবাদটি ১৮৭ বার পঠিত
প্রবাস ডেস্ক:: উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পরই ব্রিটেন। প্রতি বছর ইউরোপের বাইরের দেশ থেকে সেখানে পড়তে যায় ৪ লাখের অধিক শিক্ষার্থী। কিন্তু কঠিন নিয়মনীতির কারণে ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষার্থীদের অনেকেই।
কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে ব্রিটেনে আসা শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই খণ্ডকালীন চাকরি করে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারতো। তবে ব্রিটিশ সরকার এসব নিয়ম-নীতি এতই কঠিন করেছে যে চাকরি তো দূরের কথা, ঠিকভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া নিয়েও অনেকেই রয়েছে সংশয়ে।
ঘন ঘন পরিবর্তনশীল অভিবাসন নীতিমালার কারণে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরও। জানা গেছে, ব্রিটেনে এখন পড়াশোনা করা ছাড়া অন্য কোন কিছু করা সম্ভব নয়। কেউ যদি টাকা-পয়সা উপার্জন করার জন্য আসে তবে সে ভুল করবে। অনেক ধরনের বাঁধা রয়েছে। দিনে দিনে বাইরে পড়ালেখার জীবন বেশি কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
ব্রিটেনে থাকতে গিয়ে অভিবাসন জটিলতার মধ্যে পড়ে নানামুখী সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীদের। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী দেওয়ান চৌধুরী মাহাদী বলেন, হোম অফিস বৈরিভাব দেখাচ্ছে। অনেকগুলো কেইস নিয়ে লড়তে হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা দূরে থাক আগে ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস নিয়ে লড়তে হচ্ছে।
হোম অফিসে ভিসার আবেদন ঝুলে থাকায় বছরের পর বছর দেশেও ফিরতে পারছেন না অনেকেই। অনিশ্চিত সময় অতিবাহিত করছেন তারা। ইতোমধ্যে অনেকেই হারিয়েছেন তাদের প্রিয়জনদের।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ব্রিটেন ত্যাগ করেন থাইল্যান্ড, চীন, ভারত ও আমেরিকার শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বাংলাদেশ, রাশিয়া, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের শিক্ষার্থীরা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও স্থায়ী বসবাসের জন্য অনেকে ব্রিটেনেই থেকে গেছেন।
এখানে আসা শিক্ষার্থীরা অনেকেই মাঝপথে পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। হারিয়েছেন ব্রিটেনে থাকা বৈধ অনুমতিপত্র। কাজের অনুমতি না থাকাই চাকরিও পাচ্ছেন না তারা। এছাড়া ব্রিটেনে বসবাসের অনুমতি নিতে গিয়ে আদালতে লড়াই করতে গিয়ে আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেকেই।