দোহা ইয়ুথ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডে ৪ বাংলাদেশি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪১:২৫,অপরাহ্ন ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ২৩৭ বার পঠিত
তৃতীয় বাঙলা ডেস্কঃ
সম্প্রীতি কাতার সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ওআইসি ইয়ুথ ফোরামের যৌথ আয়োজনে আয়োজিত ‘দোহা ইয়ুথ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ নামক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় একটি বড় অংশই দখল করে আছে লাল সবুজের পতাকা।
গত সপ্তাহে ঘোষিত এই প্রতিযোগিতার ৩টি ক্যাটাগরিতেই প্রথম স্থান অধিকারসহ মোট ফলাফলে ১৬ জনের মধ্যে ৪ জনই বাংলাদেশি। তিনটি ক্যাটাগরিতেই প্রথম স্থান যেন লাল সবুজেরই দখলে।
ইসলামিক ভ্যালুজ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন সুলতান আহমেদ নিলয়। তার সঙ্গে একই ক্যাটাগরির চতুর্থ স্থানে রয়েছে আরেক বাংলাদেশি কাজী মো. জহিরুল ইসলাম। অন্যদিকে অন্য দুই ক্যাটাগরি ইয়ুথ অ্যান্ড সাকসেস স্টোরিজ এবং ইসলামিক হ্যারিটেজ এ প্রথম স্থান অধিকার করেন লাল সবুজের অন্য দুই প্রতিনিধি নাজমুল হাসান খান এবং আহমেদ আসিফ সামি।
প্রত্যেকেই এই অর্জনের অংশ হিসেবে আগামী বছরের শুরুতেই কাতার সরকারের আমন্ত্রণে ৭ দিনের সফরে যাবেন কাতারের দোহাতে।
সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট এবং সম্মাননাসহ এই চার বাংলাদেশি পাচ্ছেন মোট ১ লাখ ৭০ হাজার রিয়েল যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪০ লাখ টাকারও বেশি। বিজয়ের মাসে দেশী আলোকচিত্রীদের এই অর্জন যেন উৎসর্গ করতে চান সব মুক্তিযোদ্ধাদের।
এই অর্জনের সম্মানীর অন্যতম বিজয়ী কাজী জহিরুল বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের আগে দেশের পতাকা আরও একবার সারাবিশ্বে মাথা উঠে দাঁড়াল এই আলোকচিত্রীর মাধ্যমে। আমরা চাই আমাদের এই সাফল্য দ্বারা তরুণরা আরও এগিয়ে আসুক।
অন্যদিকে ইসলামিক ভ্যালুজ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জিত সুলতান আহমেদ নিলয় বলেন, বিজয়ের মাসে এমন অর্জন খুবই গর্বের, এই পুরষ্কারের অর্জিত অর্থ দিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে দেশকে আরও ভালো কিছু উপহার দিয়ে যেতে চাই।
আগামীতেও দেশকে অন্যান্য উচ্চতায় নিয়ে যাবার স্বপ্ন যেন হাতছানি দিচ্ছে অন্য বিজয়ী নাজমুলের চোখে। নাজমুল বলেন, মাত্র কিছুদিন ছবি তোলার পেশায় অল্প সময়ে এত বড় একটি সাফল্য পাওয়া অবশ্যই আমাকে ইঙ্গিত দিচ্ছে স্বপ্নটাকে আরও অনেক বড় করতে।