প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর ১০৩-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১৪:৩০,অপরাহ্ন ১৮ মার্চ ২০২৩ | সংবাদটি ৪১৮ বার পঠিত
তৃতীয় বাঙলা ডেস্ক :
বাংলাদেশ দূতাবাস প্যারিসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩–তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস শুক্রবার সকালে উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী, সামাজিক ও রাজনৈতিকপ্রতিষ্ঠানের নেতাকর্মীবৃন্দ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ বাংলাদেশী শিশু-কিশোররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
সকালে রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এসময় জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এ দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচকগণ দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত তালহা তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এবং বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক মুক্তিতে জাতির পিতার সংগ্রাম এবং ত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি জাতির পিতার গৌরবময় জীবনের উপর আলোকপাত করেন এবং তাঁর জীবনাদর্শের আলোকে সন্তানদেরকে দেশপ্রেমিক , সৎ ও নির্ভীক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে উপস্থিত শিশু-কিশোর ও অভিভাবকদের অনুপ্রাণিত করেন।
এসময় তিনি শিশুদেরকে জাতির ভবিষ্যত হিসেবে উল্লেখ করেন এবং তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের মূল কারিগর হিসেবেআখ্যায়িত করেন।
এছাড়াও দূতাবাস জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। রাষ্ট্রদূত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শিশুদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন এবং উৎফুল্ল শিশু-কিশোর ও উপস্থিত প্রবাসীদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন।