কানাডায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫০:৫৯,অপরাহ্ন ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ | সংবাদটি ৭০২ বার পঠিত
রাজীব আহসান, কানাডা থেকে
কানাডায় করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২০৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৫ হাজার ১২১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৩ জন।
কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে।
লোকসংখ্যার দিক থেকে কানাডার বৃহত্তম প্রদেশ অন্টারিওতে প্রতিদিনই প্রচুর সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে কুইবেকে আবার লকডাউন শুরু হয়েছে। একমাত্র জরুরি ফার্মেসি, গ্রোসারি ছাড়া সব বন্ধ থাকবে।
কুইবেকের জনসাধারণকে বলা হয়েছে, একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গ্রোসারি স্টোরগুলোতে কেউ যেন একইদিনে বারবার ছোটখাটো একটি আইটেমের জন্য না যান এবং রেস্টুরেন্টগুলো শুধু টেকআউট এবং ড্রাইভথ্রো খোলা থাকবে তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক পড়ে এবং দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। পুলিশ, স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা কড়াকড়িভাবে নজরদারিতে রয়েছে।
অন্যদিকে, কানাডার ক্যুইবেকে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে। কুইবেকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান ডুবে কুইবেকারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অনেক হাসপাতালের অবস্থা সামর্থ্যের সক্ষমতা ছাড়িয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে এবং হাসপাতাগুলোতে সক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণে হোটেল ও রিসেপশন হলগুলিতে কোভিড রোগীদের জন্য বিশেষ বেড স্থাপন করা হচ্ছে।
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া সত্ত্বেও করোনাভাইরাসকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না।
আলবার্টায় ক্রমবর্ধমান হারে করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে চাপ পড়ছে।
কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন। একদিকে শীতের প্রকোপ অন্যদিকে করোনাভাইরাসের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। ইতিমধ্যেই প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে কানাডা বাসীর মধ্যে। তবুও করোনা নিয়ন্ত্রণে অনেক ক্ষেত্রেই হিমশিম খেতে হচ্ছে নীতিনির্ধারকদের।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ভ্যাকসিনের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।