ফ্রান্সে ফ্রঁসে আভেক রাব্বানী পরিদর্শনে এসে অভিভূত ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরের মেয়র ও কাউন্সিলর
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০৭:৫২,অপরাহ্ন ১৭ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৫৩৮ বার পঠিত
শাবুল আহমেদ :
ফ্রান্সে ফ্রঁসে আভেক রাব্বানী পরিদর্শনে এসে অভিভূত হলেন ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরের মেয়র ও কাউন্সিলর।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরের মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর প্যারিসের মেয়র আন হিদালগো’র বাসস্থান বিষয়ক সহযোগী এবং কাউন্সিলর ইয়ান ব্রসা ও ওবেরভিলিয়ের মেয়র মিরিয়েম দেরকাওই-স্তা’রা মেয়র আজেদিন তাইবি।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) তারা অফিস পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ও পরিচালক কৌশিক রাব্বানীর ভূয়শী প্রশংসা করে ওবেরভিলিয়ের মেয়র বলেন, আমাদের শহরে এই প্রতিষ্ঠান এত সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে দেখে আমি অভিভূত ও গর্বিত।
তিনি বলেন কোন প্রকার সরকারি সহায়তা ছাড়াই এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি সত্যিই অনুকরণীয়।
তিনি মেরির পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহায়তার আশ্বাস দেন।
প্যারিসের কাউন্সিলর এবং প্যারিস মেয়রের আবাসন বিষয়ক সহযোগী বলেন, আগে এই প্রতিষ্ঠান আমার এলাকায় ছিল। যখন তারা ওবেরভিলিয়ে চলে আসে আমি পেয়েছি। কিন্তু এখানে এসে দেখছি এই এসোসিয়েশনের পাশে থেকে আমি কোন ভুল করার রিস্ক নেই নি, একই সাথে ওবেরভিলিয়ে এর পাশের শহর স্তা এর মেয়র বলেন, রাব্বানী হচ্ছে একটি উদাহরণ এবং তার এই প্রজেক্ট অনুকরণ করার মতোই। আমরা ভবিষ্যতে তার সাথে কথা বলে এটাকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে কাজ করবো।
এক পর্যায়ে ওবেরভিলিয়ে শহরে বাংলাদেশী আক্রমণের শিকার বিষয়ে মেয়র মিরিয়েম বলেন, আমরা এই সমস্যা সম্পর্কে অবগত এবং আমি শীঘ্রই পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে এখানে আসবো।
ফ্রসে আভেক রাব্বানী (অফিওরা) শুধু নিজেরাই এগিয়ে যাচ্ছে না, আরও একাধিক সংগঠনকে নিয়মিত সহায়তা করে যাচ্ছে। ফ্রান্সে বড় হওয়া যুবক-যুবতীরা কমিনিটির মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার অনুপ্রেরণা পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ইউটিউবে ভিডিও প্রদানের মাধ্যমে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান ফ্রসে আভেক রাব্বানী বর্তমানে অফিওরা নামে পরিচিত।
প্রতিষ্ঠাতা রব্বানী খান ২০০৬ সালে মায়ের সাথে ফ্রান্সে আসে বাবার কাছে। ২০০৮ থেকেই কমিউনিটির জন্য কিছু করার ইচ্ছেটা ডানা মেলে ২০১২ সালে।
গত সাত বছরে এই প্রতিষ্ঠানটি ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশীদের মনে জায়গা করে নেয়। ছোট একটি টেক্সী ফোন থেকে শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দু’তলা বিশিষ্ট ভবনের মাঝে চালাচ্ছে তার কার্যক্রম। সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া এই প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন সেবা দিয়ে যাচ্ছে গড়ে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে।
৯০% মানুষই প্রতিষ্ঠানের সামাজিক কাজ বা বিনামূল্যে সেবা পেয়ে থাকছে। বর্তমানে শুধু বাংলাদেশী নয়, অন্যান্য কমিউনিটির মানুষও এই প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়তা পেয়ে থাকছেন।