সাড়ে ৬ কোটি ডলারের ড্রোন দিয়ে হত্যা করা হয় সোলাইমানিকে
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪১:০৯,অপরাহ্ন ০৭ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৩২৫ বার পঠিত
তৃতীয় বাঙলা ডেস্কঃ
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানের কুদস বাহিনীর ক্ষমতাধর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়।
সোলাইমানিকে হত্যার আগে বিমানযাত্রার পুরো বিষয়টি একটি ড্রোন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মার্কিন ঘাঁটি প্রথম সোলাইমানির সফর পরিকল্পনা জানতে পারে। এরপরই দ্রুত সোলাইমানিকে হত্যার ছক কষে ফেলে মার্কিন গোয়েন্দারা।
হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমান থেকে নামার পর সোলাইমানির মাথার ওপর চক্কর দিয়েছিল লেজার গাইডেড ড্রোন। নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল তার প্রতিটি পদক্ষেপ।
মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন বিশেষ অভিযান বিশেষজ্ঞ ব্রেট ভেলিচোভিচ জানান, দ্য রিপার নামের এই ড্রোনটির দাম ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
জেনারেল এটমিকস নির্মিত এই ড্রোনটির দুটি পাখা মাত্র ২০ মিটার চওড়া। হামলার আগে ১০ মিনিট ধরে সোলাইমানি ও তার সঙ্গীদের ওপর নজর রাখছিল শক্তিশালী সেনসর থাকা ড্রোনটি।
রিপারের শক্তিশালী ক্যামেরার মাধ্যমে সোলাইমানি বিমান থেকে নামার পর কোন গাড়িতে উঠেছেন, গাড়ির কোন পাশে বসেছেন তাও দেখা গেছে। এমনকি তার গায়ের জামার রঙটি কী ছিল তাও স্পষ্ট বোঝা গেছে।
দুটি গাড়ির বহরের মধ্যে সোলাইমানির গাড়িটি ছিল সামনে। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সড়কে ওঠার পর সামনের গাড়িতে দুটি এবং পেছনের গাড়িতে দুটি রকেট হামলা চালানো হয় ড্রোন থেকে।
ওই হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবি’র উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিসসহ মোট ১০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
সৌজন্য – বাংলাদেশ প্রতিদিন