দ্বিতীয় দফা ভোটেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বরিস এগিয়ে
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫০:৩১,অপরাহ্ন ১৯ জুন ২০১৯ | সংবাদটি ৩৫৫ বার পঠিত
লন্ডন প্রতিনিধি :
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দলীয় আইনপ্রণেতাদের দ্বিতীয় দফা ভোটে প্রথম দফার চেয়েও ১২ ভোট বেশি পেয়েছেন তিনি। তবে এবার দলীয় নেতা হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে গেছেন ডমিনিক রাব।
নেতা নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ৩১৩ জন আইনপ্রণেতা ভোট দেন। এই ভোটের ফল প্রকাশ হয় | এই দফায় ৩৩ ভোটের কম ভোট পাওয়া প্রার্থীদের বাদ পড়ার কথা ছিল। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা ছয় প্রার্থীর মধ্যে কেবল ব্রেক্সিট-বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ডোমিনিক রাবই বাদ পড়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩০টি। এখন প্রতিযোগিতায় টিকে রইলেন বরিস জনসন, জেরেমি হান্ট, মাইকেল গোভ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রী রোরি স্টুয়ার্ট।
গতকালের ভোটে যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস পেয়েছেন ১২৬ ভোট। প্রথম দফার ভোটে তিনি পেয়েছিলেন ১১৪ ভোট। এদিকে দ্বিতীয় দফার ভোটে টিকে যাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৪৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন জেরেমি হান্ট। প্রথম দফায় ৪৩ ভোট পেয়ে তিনি দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন।
এ ছাড়া এবারের ভোটে মাইকেল গোভ ও সাজিদ জাভিদেরও সমর্থন বেড়েছে। প্রথম দফার ভোটে তাঁরা যথাক্রমে ৩৭টি ও ২৩টি ভোট পেয়েছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছেন রোরি স্টুয়ার্ট। এবার তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৭টি। প্রথম দফায় পেয়েছিলেন ১৯ ভোট।
এদিকে গত সোমবার প্রার্থীরা পার্লামেন্টে সংবাদ সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের সামনে সরাসরি প্রশ্নোত্তরে হাজির হন। সেখানে সব ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে আসে লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে আক্রমণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক টুইট। এই টুইট বার্তা নিয়ে প্রার্থীদের কার কী অবস্থান, সেটা জানতে চাওয়া হয়। গত শুক্র ও শনিবার লন্ডনে সহিংসতায় তিন তরুণ নিহত হন। এ ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প লন্ডনের মেয়রকে ‘জঘন্য’ আখ্যায়িত করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ছাড়া বাকি প্রার্থীরা ট্রাম্পের ওই আচরণের নিন্দা জানান। গত রোববার চ্যানেল ফোর-এর বিতর্কের মতো সোমবারের প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানেও ছিলেন না আলোচিত প্রার্থী বরিস জনসন। তবে একই দিন বিকেলে তিনি দলীয় আইনপ্রণেতাদের সামনে এক বিতর্কে অংশ নেন।
কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের মধ্যে পরিচালিত সর্বশেষ জরিপ বলছে, জনসনের সমর্থন ৭৭ শতাংশ।