নিউ ইয়র্কে ‘হামলা পরিকল্পনায়’ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫৭:১৯,অপরাহ্ন ০৯ জুন ২০১৯ | সংবাদটি ৫১৫ বার পঠিত
তৃতীয় বাঙলা ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে গ্রেনেড হামলা পরিকল্পনার অভিযোগে এক বাংলাদেশি যুবককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আশিকুল আলম (২২) নামের এই যুবক নিউ ইয়র্কের কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসে থাকেন। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আগ্নেয়াস্ত্র কেনার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ঘটনা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, আশিকুল আলাপচারিতায় টাইমস স্কয়ারে গ্রেনেড নিক্ষেপের ইচ্ছা প্রকাশের পর বেশ কিছু দিন ধরে নজরদারিতে ছিলেন। ছদ্মবেশে একজন গোয়েন্দা তার পিছু নিয়েছিল।
ওই গোয়েন্দার সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার বিষয়ে আলোচনা করেন আশিকুল। সিরিয়াল নম্বর নষ্ট করা আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে চান তিনি। সেই মোতাবেক আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল তাকে।
এরপর এফবিআই এজেন্ট ও নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট টেররিজম টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার ব্রুকলিন ফেডারেল কোর্টে আশিকুলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ছদ্মবেশী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার সিরিয়াল নম্বর মুছে ফেলা দুটি গ্লক ১৯ নাইন এমএম সেমি-অটোমেটিক পিস্তল নেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছদ্মবেশী এফবিআই এজেন্টের সঙ্গে আলোচনায় আশিকুল নিউ ইয়র্কে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলা এবং জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের প্রতি সমর্থন জানান। বিস্ফোরক ভেস্ট ব্যবহার করে হামলা চালানোর বিষয়েও আলোচনা করেন তিনি।
“টাইমস স্কয়ারে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও বেসামরিকদের হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আশিকুল আলম অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে,” বলা হয়েছে ইউএস অ্যাটর্নির দপ্তরের বিবৃতিতে।
নিউ ইয়র্কের জন জে কলেজ অব ক্রিমিনাল জাস্টিসে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আশিক।
৬ বছর আগে মা-বাবার সঙ্গে অভিবাসন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর থেকেই জ্যাকসন হাইটসে বসবাস করছিলেন আশিক। তার বাবা ব্যবসা করেন।
রয়টার্স লিখেছে, ২০১০ সালে একটি গাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে এক পথচারী পুলিশে খবর দিলে টাইমস স্কয়ারে গাড়িবোমা হামলার একটি চেষ্টা নস্যাৎ হয়।
পরে গাড়িবোমা হামলার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে কেনেডি বিমানবন্দর থেকে ফয়সাল শাহজাদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে উঠে পড়েছিলেন তিনি।
আদালতে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন শাহজাদ, তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই সাজায় সন্ত্রাসী হিসেবে ‘গর্ববোধ করার’ কথা আদালতে বলেছিলেন তিনি।