গাড়ি চালানোর আনন্দে উদ্বেল সৌদি নারীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০৯:১৮,অপরাহ্ন ২৫ জুন ২০১৮ | সংবাদটি ২৮০ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: স্বাধীনতার প্রশ্নে আরও একধাপ এগিয়ে গেল সৌদি নারীরা। এ যেন স্বপ্ন সফল হওয়ার দিন। খুলে গেলো স্বপ্ন পূরণের আরও একটি দুয়ার। রোববারই তারা প্রথমবারের মত গাড়ি চালনার অনুমতি পেয়েছে। আর তারপরই শুরু হয়ে গিয়েছে সেলিব্রেশন। এদের অগ্রভাগে ছিলেন সৌদির টিভি সঞ্চালিকা সামার আল মোকরেন।
মেয়েদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন সামার আল মোকরেন। ছোট্ট ছেলের কপালে চুমু খেয়ে শনিবার মাঝরাতেই নিজের এসইউভি-র স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখলেন।
নববিবাহিত এক দম্পতি, একদল তরুণী একগুচ্ছ বেলুন নিয়ে পথ আটকালেন সামারের। ছবি তুললেন তার সঙ্গে। দেখালেন ‘থাম্বস আপ’ সাইন।
সংবাদ সংস্থাকে সামার বললেন, স্বপ্ন সত্যি হল মনে হচ্ছে। নিজে যে শহরে বড় হয়েছেন, সেই শহরের রাস্তায় যে গাড়ি চালাবেন তা কখনও ভাবেননি সামার। তবে সবার আগে নিজের ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত সন্তানকে নিয়ে তার দাদির কাছে নিয়ে যাবেন।
রাজধানী রিয়াদের উত্তরে নার্জিসে এই সঞ্চালিকার বাড়ি। মাঝরাতে নিজের প্রিয় বন্ধুকে নিয়েই সামারকে রওনা দিতে দেখে রোববার রাতে চক্ষু চড়কগাছ হয় তার প্রতিবেশীরও। মুচকি হেসে মুনগ্লাসটা চোখে পরে নেন সামার। পাড়ি দেন নিজের সাদা রঙের গাড়ি চেপে।
‘নারীরা প্রথম গাড়ি চালাতে অনুমতি পেয়েছেন, সেই উত্তেজনা থেকে যদি দুর্ঘটনা ঘটে’, এজাতীয় আতঙ্ক থেকে বছর কুড়ির আশপাশে বয়স এমন কয়েকজন তরুণও ছিলেন পুলিশকে সাহায্য করার জন্য। হাত নেড়ে সামারকে অভিনন্দন জানান তারা। পাশেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। তিনিও বলে ওঠেন ‘আই অ্যাম প্রাউড’।
পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেখানে এতই শক্তিশালী যে মাসখানেক আগে পর্যন্তও সে দেশে গাড়ি চালানোর অধিকার ছিল না মেয়েদের। আজ সেখানে আনন্দে উড়ছে মেয়েরা। সৌদি আরবের রাজকুমারী হাই হিল জুতো পরে হুড খোলা গাড়ির চালকের আসনে বসে ছবিও তোলেন সম্প্রতি। রাজকুমারী হায়ফা বিন্ত আবদুল্লাহ্ আল-সৌদের এই ছবিটি ‘ভোগ’ পত্রিকার আরব সংস্করণে জুন মাসের প্রচ্ছদে প্রকাশিত হওয়ার পর যদিও বিতর্ক হয়েছিল। হিজাবহীন মহিলাদের দেখা যাচ্ছে ভিডিওয়, স্পোর্টস ব্রা পরে শরীরচর্চা করতে দেখা যাচ্ছে, পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব রকমের কাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে নারীকে। এভাবেই ভবিষ্যৎ পৃথিবীর স্বপ্ন গড়তে চাইছেন যুবরাজ সলমন। যেখানে কোনও বিধিনিষেধ বা বিভাজন থাকবে না বলে রিয়াদ আশ্বাস দিচ্ছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা